রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( সন্ধ্যা ৬:৪৯ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( সন্ধ্যা ৬:৪৯ ) 

IELTS ও GRE-এর মধ্যে মূল পার্থক্য

★★ IELTS:

IELTS হচ্ছে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। এর পূর্ণরূপ হচ্ছে InternationalEnglish Language Testing System (IELTS). যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এর জন্য বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, শিক্ষাগত যোগ্যতারও কোনো প্রয়োজন নেই।যাঁরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা বা কাজ করতে যেতে চান, ইংরেজি ভাষার ওপর তাঁদের দক্ষতা প্রমাণের জন্য IELTS পরীক্ষা দিতে পারেন। এতে সেখানে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডসহ পৃথিবীর আরও অনেক দেশে পড়াশোনা বা কর্মসংস্থানের জন্য যেতে চাইলে আপনার প্রয়োজন হবে IELTSস্কোরের। আগে শুধু ইউরোপের দেশগুলোতে IELTSস্কোর গ্রহণ করা হতো। তবে এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং কানাডার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় IELTSস্কোর গ্রহণ করে থাকে।

আপনার পরীক্ষার দিন হতে দুই বছর IELTSএর মেয়াদ থাকে।

আপনি যদি স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার জন্য AcademicModule। আপনি যদি কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে চান অথবা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার জন্য GeneralModule।

(যদি কনফিউশনে ভোগেন তাহলে IELTSপরীক্ষা দেওয়ার আগে জেনে নিবেন কোন মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে।)IELTSপরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই Listening,Reading, Writing & Speaking—এই চারটি অংশ থাকে।

লিসেনিং

এ অংশে কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। সিডি থেকে কথোপকথন শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হয় পরীক্ষার্থীদের। ৪০টি প্রশ্ন থাকে। ৩০ মিনিটে চারটি অংশে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়।

রাইটিং

ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয় এ অংশে। এখানে এক ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর থাকে।

রিডিং

পরীক্ষার্থীদের এ অংশে এক ঘণ্টায় তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর হয়। এখানে বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়ে থাকে। সেখান থেকেই বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি থাকে।

স্পিকিং

এখানে পরীক্ষার্থীদের মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, শখ ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে প্রস্তুতির জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়। তৃতীয় অংশে থাকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে চার-পাঁচ মিনিটের কথোপকথন।

পাসপোর্ট ছাড়া IELTSপরীক্ষা দেয়া যাবে না। IELTSপরীক্ষায় পাসপোর্টই আপনার একমাত্র পরিচয়।

সারা বিশ্বের প্রায় ৭,০০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান IELTSএকসেপ্ট করে।

পরীক্ষার দিনে অবশ্যই পাসপোর্ট নিয়ে যাইতে হবে, পেন্সিল নিয়ে যাইতে পারেন(আপনাকে পরীক্ষা সেন্টার থেকে পেঞ্চিল,ইরেসার এবং শারপনার দেয়া হবে।) অবশ্যই ঘড়ি নিয়ে যাবেন যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আর কোন কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাইতে দিবে না।

IELTS পরীক্ষা দুই দিনে হয়। একদিন আপনার Speakingহবে এবং আরেকদিন Listening,Reading,Writing হবে। সচরাচর Speaking test দুই থেকে চার দিন আগে/পরে হয়।

পরীক্ষার সেন্টার পৌছতে দেরি হলে
 পরীক্ষা কেন্দ্র হয়তো পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে পারে।

সচরাচর প্রথমে Listening, দ্বিতীয় Reading এবং শেষে Writingহয়। এটা পরীক্ষা কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে। কখনো যদি টেকনিকেল সমস্যা থাকে তাহলে সিরিয়াল ভঙ্গ হইতে পারে। আর speaking test কয়েকদিন আগে হয়ে যাবে। আপনাকে Email /SMS এর মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।

Ielts এ আপনি Britishএবং Americanদুই ধরণের Accent ব্যাবহার করতে পারবেন। রাইটিং এর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

Listening টেস্ট এর টেপে প্রথম দিকে আপনাকে ইন্সট্রাকশন দেয়া হবে এবং একটা স্যাম্পল আনসার করে দেয়া থাকবে।তারপর আপনাকে বলবে সেকশন ১ শোনার জন্য এবং উত্তর দেয়ার জন্য এবং এভাবে আপনাকে বাকি সেকশান গুলোতেও ইন্সট্রাকশন দেয়া হবে। আপনি দশ মিনিট সময় পাবেন উত্তরপত্রে আপনার উত্তর লিখার জন্য(মনে রাখবেন রিডিং এ আপনি এই সুযোগ পাবেন না)।

Reading সেকশানে উত্তরপত্রে উত্তর এক ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে, উত্তরপত্রে উঠানো সহ এক ঘণ্টা।

সম্পূর্ণ পরীক্ষা পেন্সিলের মাধ্যমে দিতে হবে। উত্তরপত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা হয় যা কলমের লেখা পড়তে পারে না।

Speaking Test এর জন্য আপনাকে শুধু পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ এর আগে আপনার পাসপোর্ট চেক করা হবে এবং আপনার ক্যান্ডিডেট নম্বর মনে রাখতে হবে।

পুনরায় IELTS দেয়ার কোন লিমিট নাই কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় পরীক্ষা দেয়া ভাল, এটা আইইএলটিএস অথরিটি সাজেস্ট করে।

অবশ্যই IELTSসহজ কিন্তু GREএবং IELTSসম্পূর্ণ আলাদা দুইটা পরীক্ষা। এই দুইটাকে একসাথে তুলনা করার কোন সুযোগ নাই। আপনি GREএর প্রস্তুতি নিলে IELTSআপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

ভাল প্রিপারেশন থাকলে অনেক ভাল লাগবে অন্যথায় একটু অস্বস্তিত লাগবেই। লিসেনিং টেষ্ট এর সময় অনেকেই অতিরিক্ত ১০ মিনিটের সময় হেডফোন খুলে ফেলে। রিমেইনিং টাইমটা হেডফোনেই বলে। সুতরাং হেডফোন খুলবেন না।

IDP তে মার্ক বেশী পাওয়া যায় BRITISHCouncil এ কম এরকম কিছু না, পরীক্ষার রেসাল্ট সেন্টার এর উপর নির্ভর করে না। IELTSএর পরীক্ষকগন সবাই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং একই প্যারামিটার এর উপর নাম্বার দেয়া হয়।সুতরাং আপনি নিশ্চিন্তে যে কোন সেন্টার এ রেজিস্ট্রেশান করতে পারেন।

★★ GRE:

“গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (Graduate Record Examination)” –কে সংক্ষেপে বলা হয় “জি আর ই (GRE)”। এটি মূলতঃ এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস(ETS) –এর একটি রেজিস্টার্ড এডুকেশনাল ব্র্যান্ড,তাই একে লেখা হয় GRE®। আমেরিকার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (ব্যাচেলর ডিগ্রির পর এমএস/ পিএইচডি প্রোগ্রাম) ভর্তির জন্য জি আর ই অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। সোজা কথা GRE একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পরীক্ষা যা অনেক দেশের অনেক ইউনিভার্সিটিতে (বিশেষ করে উত্তর আমেরিকাতে) গ্র্যাজুয়েট স্টাডি (মাস্টার্স বা পিএইচডি) করার জন্য লাগে। প্রধানত science & arts ব্যকগ্রাউন্ড এর
 স্টুডেন্টদের এটা লাগে। Commerce ব্যকগ্রাউন্ডের জন্য লাগে GMAT; তবে অনেক বিজনেস স্কুল আজকাল GRE একসেপ্ট করছে।

অনেক ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির জন্য শুধুমাত্র সিজিপিএ আর IELTS/TOEFL স্কোর হলেই চলে।

কিন্তু আমেরিকা, কানাডার ইউনিভার্সিটিগুলো সহ আরো বেশ কিছু দেশের ইউনিভার্সিটি একটু শেয়ানা। তারা জানে, শুধু সিজিপিএ কারো যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারেনা। ওরা জানে, একেক ইউনিভার্সিটির সিজিপিএ নিয়ে উদারতা একেক রকম। যেমন, বাংলাদেশে পাবলিক ভার্সিটিতে যেখানে 3.5 তুলতে কৌষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যায়, সেখানে প্রাইভেট ভার্সিটিতে 3.90 বেশ নরম্যাল রেজাল্ট। যাদের সিজিপিএ কম, তাদের জন্য এটা বেশ সুখবর। নিজের যোগ্যতা প্রমাণের আরো একটা সুযোগ আছে আপনাদের জন্য।

জি আর ই (GRE) –এর অনন্যতা:

প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির সাথে জি আর ই, জিম্যাট এর কিছু পার্থক্য আছেঃ
প্রচলিত পরীক্ষা হয় কাগজ কলমে, আর জি আর ই, জিম্যাট পরীক্ষা হয় কম্পিউটারে।


 আপনি একবারে মাত্র একটি প্রশ্ন দেখতে পাবেন। আগের জি আর ই (২০১১ এর অগাস্টের আগে) ছিল সিএটি বা Computer Adaptive Test (CAT) ধরণের, যার অর্থ হলো কম্পিউটার আপনার উত্তরের উপর
 নির্ধারণ করবে যে পরবর্তীতে আপনাকে কেমন প্রশ্ন দেবে। আপনি যদি কোন প্রশ্নের উত্তর ভুল করেন তাহলে পরেরটা সহজ এবং কোনটা সঠিক হলে পরেরটা একটু কঠিন হতো।
 

কিন্তু বর্তমান জি আর ই তে CAT ব্যবহৃত হয় না। বরং এখানে যা হয় তাকে বলে MST, Multi-Stage Testing

বর্তমানে দুটি ভার্বাল ও দুটি ম্যাথ সেকশন থাকে। যদি প্রথম ভার্বাল অংশটায় আপনার পারফর্ম্যান্স ভালো হয় তাহলে পরেরটা কঠিন হবে, এবং বিপরীতক্রম। একই কথা সত্য ম্যাথ অংশের জন্যও। সনাতন পরীক্ষায় আপনি জানতে পারবেন যেকোন প্রশ্নের জন্য কত মার্কস। কিন্তু জি আর ই বা জিম্যাটে ঠিক এভাবে জানা যায় না। আপনার সামগ্রিক পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করে কম্পিউটার একটি স্কোর দাঁড় করায়, যা নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে।


পরীক্ষার হলে কক্ষপরিদর্শক বা ইনভিজিলেটররা থাকেন। জি আর ই পরীক্ষার হলে একটি সাইবারক্যাফের মতো রুমে সবাইকে আলাদা আলাদা কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেওয়া হয়, এবং ইনভিজিলেটররা বাইরের রুমে থাকেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কর্মকাণ্ড তারা ক্লোস সার্কিট
ক্যামেরায় দেখতে পারেন।


প্রচলিত পরীক্ষায় ভাবমূলক বা সাবজেকটিভ ধরণের প্রশ্ন থাকতে পারে, যার উত্তর এক এক রকম হলে মার্কস ও এক এক রকম হতে পারে। জি আর ই বা জিম্যাটের অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অংশ ছাড়া ম্যাথ ও ভার্বাল অংশের সব প্রশ্নই অবজেকটিভ ধরণের হবে, অর্থাৎ এক বা একাধিক উত্তর থাকবে কিন্তু ঠিক ওগুলোই সঠিক উত্তর। এক এক জন একেক রকম উত্তর দিয়ে সঠিক মার্কস পেতে পারবে না বিষয় বিত্তিক জি আর ই ও সাধারণ জি আর ই।

সাধারণত নিম্ন লিখিত আটটি বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক জি
 আর ই টেস্ট দেয়া যায়ঃ

১। প্রাণরসায়ন (Biochemistry), কোষ এবং আণবিক
 জীববিজ্ঞান (Cell and Molecular Biology)
 ২। জীববিজ্ঞান (Biology)
 ৩। রসায়ন (Chemistry)
 ৪। কম্পিউটার সাইন্স
 ৫। ইংরেজি সাহিত্য (Literature in English)
 ৬। গণিত (Mathematics)
 ৭। পদার্থ বিজ্ঞান (Physics)
 ৮। মনোবিজ্ঞান (Psychology)


যে কেউ চাইলে এর যেকোনো বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক জি আর ইটেস্ট দিতে পারবে। আর সাধারণ জি আর ই –এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো হল:


 ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning),
 কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning)
 এবং এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills)

সাধারণ জি আর ই টেস্টের জন্য নির্ধারিত এই
 বিষয়গুলো সকলের জন্য একই রকমের হবে।

ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning): এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজী শব্দ ও বাক্যের উপর দক্ষতা কত। ইংরেজীতে আর্টিকেল লেখা থাকবে, সেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে (বাক্য) বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে, এরপর প্রতিটি ভাগকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে (শব্দগুলোর সাথে বিষয়বস্তুর সম্পর্ক বের করতে হবে)।

জিআরই-র ভারবাল কঠিন। এতে কোন সন্দেহ নেই।জিআরই-র ভারবাল স্কোর ডিপেন্ড করে আপনি ভোকাবুলারিতে কিরকম সেটার উপর। ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে সায়েন্সের প্রোগ্রামগুলোতে ভারবাল স্কোরটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করেনা। মোটামোটি ভারবালে ৮০০-র মধ্যে ৫০০-৫৫০পেলেই ভাল প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। তবে হিউমেনিটিজ বা আর্টেসের সাবজেক্টগুলো্তে ভারবাল গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের অন্তত ৬০০+ পাওয়া উচিৎ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। যাদের ইংলিশ স্কিলস ভাল না তারা কিভাবে ভাল করবেন সেটা জিমেটের পোস্টে বলেছি। তাই ইংলিশ ভাল করার জন্য ৫/৬ মাস কষ্ট করুন যেভাবে বলেছি সেভাবেই। ভারবালে মোট ৩০টা প্রশ্ন থাকে, সময় থাকে ৩০ মিনিট। উল্লেখ্য ম্যাথ এবং ভারবালের মধ্যে কোন ব্রেক নেই (জিমেটে আছে)। ভারবালে ৪ ধরণের প্রশ্ন থাকে। সেন্টেন্স কম্পলিশান, এন্টনিমস, এনালজি, রিডিং কম্পরিহেনশান। চারটার মধ্যে তিনটাই সরাসরি আপনার ভোকাবুলারী স্কিলসের উপর ডিপেন্ড করে। তাই
ভোকাবুলারীটা জিআরই-র ভারবালের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেন্টেন্স কম্প্লেশান হচ্ছে আমরা ছোটকাল থেকে যে শুণ্যস্থান পূরণ
করতাম সেই একই জিনিস, শুধু ইংরেজীতে। তবে বেশিরভাগ প্রশ্নে দুটা শুণ্যস্থান থাকে। এনটনিমস আর এনালজি পুরোপুরি ভোকাবুলারির উপর ডিপেন্ড করে।

কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning): এই অংশকে ম্যাথ সেকশনও বলা হয়।এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর গাণিতিক মৌলিক ধারনা এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বীজগণিত, জ্যামিতি ও তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।

আপনার পরীক্ষার ২য় সেকশানটা ম্যাথ বা ভারবাল যেকোনটাই হতে পারে। ম্যাথ স্কোর টোটাল ৮০০। বাংলাদেশের ছেলেদের জন্য ৮০০ তে ৮০০ পাওয়া খুবই কমন। এখানে জিমেটের মতই হাইস্কুল লেভেলের এরিথমেটিক, এলজেব্রা, জিওমেট্রি,ওয়ার্ড প্রবলেম এসব আসে। মোট ২৮টা প্রশ্নের ৪৫ মিনিট সময় থাকবে। তিন ধরণের প্রশ্ন থাকে। প্রবলেম সলভিং, কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসন আর ডাটা ইন্টারপ্রিটেশান। প্রবলেম সলভিং জিমেটের মতই, আরেকটু হয়ত ইজি। কোয়ান্টিটেটিভ কমপেরিসনে দুইটা এক্সপ্রেশান থাকবে, যেগুলোর মধ্যে কোনটা বড়, কোনটা ছোট বা সমান এসব বের করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ প্র্যাকটিস করলে এটা সবচেয়ে সহজ হয়ে যায়। যারা আন্ডারগ্র্যাডে স্ট্যটিসটিকস নিয়েছেন তাদের জন্য ডাটা ইন্টারপ্রেটেশন ডালভাত। না নিলেও ক্ষতি নেই।


এখানে সাধারণত পাইচার্ট, বার-ডায়াগ্রাম এসবের উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন থাকে। বলা যায় এটা সবচেয়ে সহজ পার্ট যদি আপনি নার্ভাস না হয়ে যান। কম্পিউটার এডাপ্টিভ হওয়াতেপ্রথম ৮/১০ টা প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেগুলোর জন্য একটু বেশি সময় দিতে হবে। ইদানিংকালে এভারেজ, মিডিয়ান, স্ট্যান্ডারড ডিভিয়েশান, প্রবাবিলিটি এসবের উপর প্রশ্ন আসতেছে। এদিকে একটু নজর দিতে হবে। ম্যাথ কিভাবে পড়বেন সেটা প্রেপ সেকশান বলব।

এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills):

এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর যে কোনো ধরনের জটিল সমস্যা স্পষ্টভাবে ও সকল বিষয়াদি বিবেচনাধীন রেখে সমাধান করা। এই সমাধান পরিষ্কার ইংরেজীতে লিখতেও হবে।

জিমেট আর জিআরই রচনা একই রকম হয়। দুটাতেই আপনাকে দুটা রচনা লিখতে হবে। একটা এনালিসিস অফ ইস্যু আরেকটা এনালিসিস অফ আর্গুমেন্ট। তবে জিমেটে যেখানে দুটার জন্যই ৩০ মিনিট করে সময় থাকে সেখানে জিআরই তে ইস্যুর জন্য ৪৫ মিনিট আর আর্গুমেন্ট জন্য ৩০ মিনিট সময় থাকে। জিআরই-এর রচনাগুলো আপনি যদি সায়েন্স পড়তে চান তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ না, তবে আর্টস, হিউমেনিটিজ পড়তে চাইলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।৬ এর মধ্যে মোটামুটি ৪-এর উপরে পেলেই চলবে ।

আশাকরি এখন IELTS ও GRE এর তুলনামূলক পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print