

চট্টগ্রামে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সাতকানিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে গতকাল রাত ৮টায় তার শরীরে করোনা পজিটিভ ছিল বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
এ ব্যক্তি ছাড়াও বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করা আরো ৭৯ জনের মধ্যে আরো দুজনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। সাতকানিয়ার আলী নগরের (ইছামতি) ৬৯ বছর বয়সী এ রোগী গত বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ মেলে। এছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে একজন পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তার বয়স ৫০ বছর। অন্যজন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দানপাড়া কোদাল বাড়ির বাসিন্দা। যার বয়স ৩২ বছর।
তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা আক্রান্ত ব্যক্তি চট্টগ্রামে থাকেন না। তিনি রামগঞ্জে থাকেন। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে ৩ এপ্রিল ও ৫ এপ্রিল চট্টগ্রামে দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। দুজনই সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাদের বাসা নগরের দামপাড়া এলাকায়। দুজনই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরপর ৮ এপ্রিল আরো তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। এর মধ্যে একজন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দা। বাকি দুজন নগরীর হালিশহরের শাপলা আবাসিক এলাকা ও সাগরিকা এলাকায় থাকেন।
১০ এপ্রিল আরো দুজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দুজনই পুরুষ। ফিরিঙ্গিবাজারের শিববাড়ি লেইনের আক্রান্তের বয়স ৫৭ বছর। তিনি ব্যবসায়ী। আরেকজন আকবরশাহ থানার ইস্পাহানি গেট গোলপাহাড় এলাকার বাসিন্দার বয়স ৩৫ বছর। তিনি দোকান কর্মচারী।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আহ্বানে ও চট্টগ্রামের প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের অর্থায়নে নগরীর খুলশীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নতুনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে মেয়রের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টরা হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় মেয়র বলেন, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। চট্টগ্রামে সরকারিভাবে জেনারেল হাসপাতালকে কভিড-১৯ রোগীদের আইসোলেশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বেসরকারিভাবে কোনো হাসপাতাল থাকলে তা জেনারেল হাসপাতালের ওপর চাপ কমাবে। সব বিষয় বিবেচনা করে প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশন হলি ক্রিসেন্টকে কভিড-১৯ রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের অর্থায়ন ও পরিচালনায় হাসপাতালটি পরিচালিত হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সেটি তদারক করবে।
মেয়র বলেন, ২০টি আইসিইউ বেড ও ৮০টি সাধারণ বেডসহ মোট ১০০ বেডের উন্নত হাসপাতাল হবে এটি। হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। এটি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ করবে চসিক। এছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করবে। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এটি নিসঃন্দেহে একটি খুশির খবর।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবালসহ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman