রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২১ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২১ ) 
ctgdailynews

মন্ত্রিসভা ডিজিটালি বিচারকার্য সম্পন্নে আইন অনুমোদন করেছে

ঢাকা (সিডিএন ডেস্ক) : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য জিজিটাল মিডিয়ার সাহায্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে মন্ত্রিসভা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে গণভবনে বিশেষ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।

এছাড়া ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া এবং ‘দি ইনকাম ট্যাক্স (এমেনমেন্ড) অর্ডন্যান্স, ২০২০’ এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় আসামিকে জেলখানায় রেখে, আইনজীবীকে বাসায় রেখে ও সাক্ষীকে অন্য জায়গায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিচারকার্য করা সম্ভব হবে। এটাই হলো এই অধ্যাদেশের মূল বিষয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করবে। আর পার্লামেন্ট বসার প্রথম দিনই এটি সেখানে উপস্থাপিত হবে।’

এই আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা জট যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীগণ বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে অবস্থা দূর করার লক্ষ্যে এবং বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ভিডিও কসফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার জন্যই ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ চলছে না, কাজেই এটিকে পাস করা যাবে না। তাই এটিকে অধ্যাদেশ আকারে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে জরিমানা ও সুদ দিতে হবে না। এমন বিধান রেখে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের একটা বিধান আছে, প্রত্যেক মাসের রিটার্নটা পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে অধিকাংশ জায়গায় ব্যবস্থা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত বন্ধ থাকার ফলে এটা সম্ভব হচ্ছেনা ।’

তিনি বলেন, ‘আইনের বিধান আছে যদি ১৫ তারিখের মধ্যে না হয় তাহলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতি একদিনের জন্য ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এটা যেহেতু কারও কোনো ফল্ট না একটা প্রাকৃতিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি আইনগুলোতেও ‘অ্যাক্টস অব গড’ নামে একটা প্রভিশন আছে তাই রাজস্ব বোর্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতি একদিনের জন্য ২ শতাংশ করে সুদ অব্যাহতি দিতে পারবে।’

খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘বোর্ড জনস্বার্থে জরিমানা ও সুদ পরিশোধ ছাড়া দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বাড়াতে পারবে, যেটা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে।’

একইসঙ্গে ‘দি ইনকাম ট্যাক্স (এমেনমেন্ড) অর্ডন্যান্স,২০২০’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, যেখানে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা (১৮৪ জি) সংযুক্ত করে সময় গণনার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে, বলেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ লকডাউনমুক্ত এলাকাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসাধারণকেও সহযোগিতার তাগিদ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।


তিনি বলেন,‘পার্টিকুলারলি সরকার কিছু কিছু জায়গায় ওপেন করে দিয়েছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এজেন্সিকে খুব স্ট্রিক্ট-ভিউতে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি জনসাধরণকে কো-অপারেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, এ জিনিসটা বুঝতে হবে যে, এটা একটা মহামারি এবং কমিউনিটি সাইটটাকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে।’
সচিব আরো বলেন,‘সোশ্যাল ডিসটেন্সিং যেটা আছে বা সেলফ কোয়ারেন্টিন আছে, এগুলো যদি জনগণ যথাযথভাবে মেনে চলার চেষ্টা না করেন তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা দুষ্কর হবে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print