

ডেস্ক রিপোর্ট : রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে পরিচিত দৃশ্যটি হচ্ছে সহায় সম্বলহীন গরিব কিছু মানুষ, যারা জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর সম্পত্তি সবকিছু ফেলে এদেশে চলে এসেছে। কিন্তু গত দু বছরে এই দৃশ্যপটের অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে।
উখিয়া অথবা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে ও আশেপাশে এখন যত দোকান দেখা যায় তার বেশিরভাগই রোহিঙ্গাদের। স্থানীয়দের প্রশ্ন, রোহিঙ্গারা ব্যবসা করার টাকা কোথায় পাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের মূলত সরকারী খাস জমিতে আশ্রয় দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু দালালরা ভুয়া কাগজপত্র বের করে রোহিঙ্গাদের কাছে অনেক খাস জমি বিক্রি করছে। প্রশ্ন উঠছে, জমি কেনার মতো টাকা রোহিঙ্গারা পাচ্ছে কোথায়?
এছাড়া রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নৌকা প্রায়শই কোষ্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা করে বাংলাদেশের দালালরা। এই পথঘাট গুলো দালালদের চেনা এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়েই তারা এই কাজটি করে।
কিন্তু বাংলাদেশে ঢোকার আগেই দালালদের দেয়ার জন্য বাংলাদেশী মুদ্রা কিভাবে পায় রোহিঙ্গারা? এরকম অনেকগুলো প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষসহ রোহিঙ্গা সংস্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের মনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এনজিও এখানে তাদের কার্যিক্রম চালাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের এ দেশে প্রবেশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গাদের এদেশে ঢুকতে দালালদের টাকার যোগান দেয় বিভিন্ন এনজিও। মূলত যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিওগুলো এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য দেশটি বরাবরই আহবান জানিয়ে আসছে। যার পেছনে কোন উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করেন সংস্লিষ্টরা।
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ৬৩ জনের একটি তালিকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে আনার অনুমতি চেয়েছিলো । কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যাচাই করে দেখে তাদের মধ্যে মাত্র ১৯ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। বাকিরা এমনিতেই আসতে চান।
ব্যাপারটি সন্দেহজনক হওয়ায় বাংলাদেশ তাদের ঢুকতে দেয়নি। এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়ন শুরু হয় যুক্তরাজ্যের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যাটি প্রকপ্রকার চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এখন তাদের পেছনে টাকা ঢেলে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে সুদূরপ্রসারী কোন পরিকল্পনা রয়েছে যা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবা উচিৎ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman