রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:৩০ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:৩০ ) 
CTG Daily News

চীনা বিজ্ঞাপণ ছাড়া আইপিএল সম্ভব নয়

স্পোর্টস ডেস্ক : লাদাখে ভারত-চীন সংঘাতের পর চীনের পণ্য বয়কট করার দাবি উঠেছে ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে। ইতিমধ্যে রেলে চীনা সংস্থার টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। ভারতের টেলিকম বিভাগকে বলা হয়েছে চীনা কোম্পানির সাহায্য় না নিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সংস্থাটির কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, চীনের স্পনসর ছাড়া আইপিএল হওয়া সম্ভব নয়।

জানা গেছে, আইপিএলের অন্যতম স্পনসর চীনের মোবাইল কোম্পানি ভিভো। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর আইপিএল এর জন্য ৪৪০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপণ দেয় চীনের ভিভো। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। যা এই মুহূর্তে বাতিল করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে চীনের কোম্পানি থেকে সাহায্য নিলে তা চীনের জন্য যতটা লাভের, তার চেয়ে ভারতের লাভ অনেক বেশি।
ভিভো ভারতে মোবাইল বিক্রির জন্য আইপিএলের বিজ্ঞাপনে টাকা ঢালছে। এই বিজ্ঞাপণের টাকা থেকে ভারত সরকারকে কর দিচ্ছে বিসিসিআই । এছাড়া ওই মোবাইল কোম্পানি ভারতে মোবাইল বিক্রি করেও ট্যাক্স দিচ্ছে। ফলে শেষ পর্যন্ত ভারতই লাভবান হচ্ছে।

বস্তুত, টেলিকম সেক্টরে ভারতের বাজারের বড় অংশ এখন চীনের দখলে। রাতারাতি চীনের পণ্য বয়কট করা হলে টেলিকম সেক্টরে ধস নেমে আসবে। তাই আবেগতাড়িত হয়ে চীনের পণ্য বয়কট করার মতো অবস্থায় নেই ভারত। তাই এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা ও যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে বিসিসিআই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে কোনও দেশকে এভাবে বয়কট করা যায় না। ফলে মুখে যে যাই বলুক, সার্বিকভাবে চীনের পণ্য বয়কট করা সম্ভব নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার সরাসরি বয়কটের ডাক দিচ্ছে না। কারণ তারা জানে, এটা সম্ভব নয়। কিন্তু, এই মুহূর্তে ভারতের ভিতর চীন বিরোধী ভাবাবেগ খুবই শক্তিশালী। এই ভাবাবেগকেও শাসক দল ব্যবহার করতে চায়। তাই বিভিন্ন মন্ত্রী এবং দলীয় কর্মীরা ব্যক্তিগত ভাবে চীনা জিনিস বয়কটের ডাক দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে আরেকটি চীনা মোবাইল সংস্থা ওপপো ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির স্পনসর ছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই চুক্তি শেষ হয়েছে। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি স্পনসর দক্ষিণ ভারতের একটি শিক্ষা সংস্থা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print