

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুষের টাকা লেনদেন করার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের একজন নিরীক্ষককে (অডিটর) আটক করা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতার জটিলতা নিরসনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন মো. কুতুব উদ্দিন নামের ওই কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলি এলাকার নিজ কার্যালয় থেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা তাকে টাকাসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহাগ রানা।
সোহাগ রানা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে (মাস্টার রোল) কর্মরত ৬৩ জন কর্মীর চাকরি স্থায়ী হলে বর্ধিত বেতনে এক কোটি সাত লাখ টাকার বিল বকেয়া আসে। এই টাকা পেতে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের নিরীক্ষকের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকায় চুক্তি করেন তারা। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় কর্মীরা ৬৪ লাখ টাকা তুলে নেন। এরপর আজ বাকি ৪৩ লাখ টাকার বিল প্রস্তুত করা হয়েছিল। বিলের টাকা নিতে আসা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তিনজন কর্মচারী চুক্তি অনুযায়ী নিরীক্ষক কুতুব উদ্দিনকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। সে সময় টাকাসহ হাতেনাতে তাকে আটক করেন এনএসআই-এর সদস্যরা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা এ ঘটনাটি তদন্ত করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে। এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি আমি জানতাম না। এনএসআই-এর সদস্যরা তাকে আটক করার পর বিষয়টি জানতে পারি। আমার কার্যালয়ের অন্য কক্ষে ঘটনাটি ঘটেছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘মাস্টার রুলে কাজ করা কর্মচারীদের বেতন দীর্ঘদিন যাবৎ বকেয়া ছিল। এ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করছিলেন এবং আদালতে একটি মামলাও চলমান ছিল। মামলার রায় তাদের পক্ষে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক কোটি সাত লাখ টাকা বেতন মঞ্জুর হয়। সেই টাকার কিছু অংশ আগেই পাস হয়ে গেলে কর্মচারীরা তা পায়। আজ বৃহস্পতিবার বাকি ৪৩ লাখ টাকা জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে পাস হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে শ্রমিক-কর্মচারীরা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, ‘ওয়ার্ক চার্জে কাজ করা শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি আদালতের নির্দেশে নিয়মিত হয়েছে। আদালত থেকে তাদের বকেয়া বেতন দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই বেতনের টাকা তোলার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার খবর শুনেছি। বেতন তো তাদের হক, এটার জন্য তো কোনো কিছু দেওয়া লাগে না।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman