রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২০ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২০ ) 
Ctgdailynews

ব্লাডক্যানসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা : ব্লাডক্যানসার (চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় যা লিউকোমিয়া নামে পরিচিত) হচ্ছে রক্ত অথবা অস্থিমজ্জার ক্যানসার। এতে শ্বেতকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিভাজন ঘটে। ব্লাড ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ধরা সম্ভব হয় না।

একজন মানুষ পুরোপুরি সুস্থ থাকলেও হঠাৎ করে তার ব্লাডক্যানসার ধরা পড়তে পারে। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী নিজেই বুঝতে পারেন না যে, তিনি কত মারাত্মক একটি রোগে আক্রান্ত। ব্লাড ক্যানসারের কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো ঘন ঘন জ্বর হওয়া (এটাই সবচেয়ে কমন), রাতের বেলা অনেক বেশি ঘেমে যাওয়া, প্রচ- দুর্বলতা ও অবসাদ, খিদে না থাকা ও ওজন হ্রাস, মাড়ি ফোলা বা খেতে গেলে রক্তক্ষরণ, ছোট কাটাছড়া থেকে অনেক বেশি রক্তক্ষরণ, স্নায়বিক লক্ষণ (মাথাব্যথা), স্ফীত যকৃৎ ও স্পিন, অল্পে ছড়ে যাওয়া, সংক্রমণ হওয়া, অস্থিতে যন্ত্রণা, গাঁটে ব্যথা, স্ফীত টনসিল ইত্যাদি। লিউকেমিয়ার কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। নানা কারণে বিভিন্ন লিউকেমিয়া হতে পারে। সম্ভাব্য কারণগুলো হলো প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম আয়ন বিকিরণ, কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস, জিনগত বা জন্মগত। ব্লাডক্যানসার বা লিউকিমিয়া আছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। যেমন রক্তের কোষ পরীক্ষা বা ঈইঈ এবং বায়োপসি বা হাড়ের মজ্জা পরীক্ষা।

ব্লাডক্যানসার বা লিউকিমিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর বয়স কত, ক্যানসারের ধরন, ক্যানসার ছড়িয়ে গেছে কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। চিকিৎসা পদ্ধতির ভেতর আছে কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপি, হাড়ের মজ্জা প্রতিস্থাপন ইত্যাদি। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্লাডক্যানসার ধরা পড়লে এ রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে ব্যাপারটা সহজ নয়। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়া প্রায় অসম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী বুঝতে পারেন না যে, তিনি একটি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত।

লেখক : অধ্যাপক (অব); জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চিফ কনসালট্যান্ট, প্যাথলজি বিভাগ

চেম্বার : প্রতিষ্ঠাতা, আনোয়ারা মেডিক্যাল সাভির্সেস, ধানমন্ডি, ঢাকা

০১৯৭১৫৩৪৩১৬, ০১৭১৫৩৫৩৯১৩

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print