সোমবার • ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ১২:৩৬ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
সোমবার • ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ১২:৩৬ ) 
CTG Daily News

যে কারণে ৩৮ নয়, ৪০তম বিসিএস থেকে বাদ যাচ্ছে কোটা

ঢাকা (সিডিএন ডেস্ক) : কোটা পদ্ধতি বাতিল করায় ৪০তম বিসিএস থেকে আর কোটা পদ্ধতি থাকবে না বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন -পিএসসি। সর্বশেষ ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে দেওয়ার পর এ তথ্য জানায় কমিশন।

চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ফলে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এর পরদিন বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি কোটা বাতিল করে মন্ত্রিসভা।

পিএসসি জানায়, ২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিসিএসে কোনো কোটা ছিল না।

কিন্তু কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও ৩৮তম বিসিএসে কোটা অনুসরণ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, কোটা বাতিলের আগেই এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এজন্য কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে ৪০তম বিসিএস থেকে আর কোটা থাকবে না। ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, ফলাফল দেওয়ার সময় সরকারের সর্বশেষ কোটা নীতি ব্যবহার করা হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। সে সময় মেধাতালিকা ২০ শতাংশ বরাদ্দ রেখে, ৪০ শতাংশ জেলাভিত্তিক, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার এই কোটা ব্যবস্থাটি পরিবর্তন করে সর্বশেষ ৫৫ শতাংশের কোটা করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক কোটা ১০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। পরে ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধীদের জন্যও নির্ধারণ করা হয়।

পিএসসির প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যাওয়ায় ২৮ থেকে ৩৮ তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে অন্তত ছয় হাজার পদ খালি ছিল। এমনকী, শুধু কোটার প্রার্থীদের নিয়েগের জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএস নেওয়া হলেও ওই বিসিএসেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮১৭টি, মহিলা ১০টি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২৯৮টি সহ মোট এক হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রাখতে হয়। শুধু বিসিএস নয়, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়োগেও একই অবস্থা হয়। কোটা বাতিল হওয়ায় এখন থেকে আর কোন পদ শূন্য থাকবে না।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print