

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের প্রচলিত আইন মেনেই ও নির্দেশনা মেনেই ইভ্যালি ব্যবসা করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্টগানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
ইভ্যালির সিইও বলেন, সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ। দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি এবং ব্যবসা বান্ধব খবর প্রচার করে এদেশের অর্থনীতিতে আপনারা অবদান রাখছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তুলে ধরে যেমন সেগুলোকে শুধরে নেওয়ার উদ্দেশ্য করেন এবং অগ্রগতির নিউজ করে বিশ্বের দরবারে নিজেদের অর্থনীতিকে তুলে ধরার চেষ্টাও চালিয়ে যান। আমরা একটি বিজনেস অর্গানাইজেশন হিসেবে একইভাবে আপনাদের পাশে চাই এবং এবং পাশে পাচ্ছি। আমি বলবো না আমি সব জানি এবং আমাদের কোন ভুল নেই। তবে দেশের প্রচলিত আইন ও নির্দেশনা মেনেই বিজনেস করছি। এবং ভবিষ্যতে কোনো আইন ও নির্দেশনা আসলেও আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী তা মেনে চলবো।
দেখুন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নের মর্ম আমরা এখন পুরোপুরি বুঝতে পারছি। পৃথিবীর যে সকল দেশ উন্নত, তাদের লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারি যে, প্রযুক্তি তাদের উন্নয়নে কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতির একটি বড় চাকা হলো বাণিজ্য। আজ আমেরিকা, চায়না এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যের অন্যতম শাখা হলো ইকমার্স। কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে ইকমার্স-এ। এই ইকমার্স আসলে একটি ইনোভেশন বিজনেস মডেল। আমাদের ইকমার্স এও বিনিয়োগ আসার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ কারিরা মার্কেট রেডিনেস এর উপর নির্ভর করেই প্রধানত আসে। এই মার্কেট রেডি করতে যেয়ে বিজনেস মডেলে কিছু পরিবর্তন আনাতে হয়তো সাময়িকভাবে এটার কেউ কেউ ভূল ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন । এই ব্যাখ্যা শুধু আমাদের একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আপনাদের সহযোগিতা এখানে একান্ত প্রয়োজন।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সারা বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই হাজারের বেশি ইভ্যালি এক্সপ্রেস গ্রোসারি শপ ও প্রায় ৭৫০ এর বেশি ফার্মেসি এর মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ১-৩৬ ঘন্টা এবং ঢাকায় ৫০০০ ইভ্যালি ডেলিভারি হিরোর মাধ্যমে ১ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে দিয়েছি। এর মাধ্যমে যেমন সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে উতসাহ প্রদান করা গেছে একই সাথে ২৭৫০ এর বেশি সেলারকে দুর্যোগ কালিন সময়ে আয়ের উৎস সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন স্বনামধন্য সুপারশপগুলোকে আমাদের প্লাটফর্মে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের সেবার পরিসর বৃদ্ধি করেছি। এখন ইভ্যালি এর বিজনেস মডেলের সবচেয়ে সেন্সেটিভ পার্ট হলো এখানে ভোক্তা ও ক্রেতার সমাগম করা। আমাদের স্টাডি বলে এই জায়গায় সমাগম করতে পারা কোম্পানি সফল হয়েছে এবং যারা পারে নাই তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে । এই সমাগমটা সহজ ছিল না । ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় কে খুশি রেখে এবং আমাদের প্রসেস উন্নয়নের মাধ্যমে এটা এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ক্রেতা এবং বিক্রেতা সমাগম করতে আমাদের বিজনেস মডেলের কিছু পরিবর্তন/ইনোভেশন আনা হচ্ছে। হয়তো এই জায়গায় অনেকে ধরে নিয়েছেন আমরা একইভাবে সারা জীবন চলবো।
আমাদের এখানে অবশ্যই একটা ব্যবসায়িক লক্ষ্য ছিল। আমরা বিক্রেতা/প্রস্তুতকারক থেকে সর্বোচ্চ কমিশন নিয়ে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া। কিছু পণ্যে লস করে অন্য পণ্য দিয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া, এরকম কিছু স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছি। এটা একটা বিজনেস মডেল। আপনারা দেখবেন ক্রেতা ও বিক্রেতা সমাগম অধিক হলে সার্ভিস হয়তো ১০০% ঠিকমত দেওয়া যায় না। কিন্তু আমরা থেমে থাকি নাই, আমাদের কর্মী ৫জন থেকে এখন ৭০০ জন।
আমাদের ডেলিভারি হিরো রেজিস্টার্ড ১৫,০০০ এবং প্রতিনিয়ত কাজ করছে প্রায় ৪০০০ জন। আমরা এই বছরেই কর্মী সংখ্যা ২০০০ এবং আগামী ৫ বছরে ২,০০,০০০ কর্মীর একটা সংস্থা হতে পারব। আমরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। যে পদ্ধতিতে ভ্যালুয়েশন করা হয় সেই পদ্ধতিতে হিসেব করলে কনজারভেটিভ ওয়েতে আমাদের গ্রুপ ভ্যালু মিনিমাম ৫০০ মিলিয়ন বা ৪০০০ কোটি টাকার অধিক। যদিও এটা আমাদের ইন্টারনাল পদ্ধতি যা স্ট্যান্ডার্ড ওয়েতে ক্যালকুলেটেড। হ্যা আমরা অবশ্যই স্বীকার করি হয়তো পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার জন্য ডেলিভারি এবং সার্ভিস নিয়ে কিছু অভি্যোগ আছে। কিন্তু দেখুন আমরা এই পর্যন্ত ডেলিভারি করেছি ১৫০০ কোটি টাকার বেশী মূল্যের পণ্য। আমাদের গড় পণ্য ডেলিভারি সময় এখন কমবেশী ৭দিন। হয়তো অভিযোগ গুলো দেখাতে ভাবতে পারেন আমরা ভালো সার্ভিস দিচ্ছি না অথবা সেলার পেমেন্ট দিচ্ছি না। আজ আমাদের ২০,০০০ ক্ষুদ্র সেলার এবং ২০০০ কর্পোরেট সেলার সরাসরি আমাদের সাথে যুক্ত। এর মধ্যে দেশিয় স্বনামধন্য সেলার যেমন রয়েছে ঠিক একই ভাবে মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনও রয়েছে।
আমি আপনাদের বিনীত অনুরোধ করছি এই ইভ্যালির জম্নের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোক্তার ও বিক্রেতার উভয়কে সুবিধা দেওয়া। অতএব তাদের বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে আপনাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় একান্ত কাম্য।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman