

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনামুক্ত না হলেও তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন। হাসপাতাল ছেড়ে ২০ বছর আগের চেয়ে ভালোবোধ করছেন বলে দাবি করছেনতিনি। আর করোনায় ট্রাম্পের চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তাকে যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়া হয় তা সাধারণ কাউকে দেওয়া হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ছাড়েন ট্রাম্প। তার তিন দিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউজে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরার ঘোষণা দেন তিনি।
হাসপাতাল ছাড়ার আগে টুইট করেন ট্রাম্প। টুইটে তিনি মার্কিন জনগণকে করোনা নিয়ে ভীত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনা নিয়ে ভীত হবেন না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ২০ বছর আগের চেয়েও ভালো বোধ করছি।’
করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন দিন পরই ট্রাম্পের হাসপাতাল ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ কোনো নাগরিক করোনায় সংক্রমিত হলে তিনি নিশ্চয়ই দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো একই চিকিৎসা পাওয়ার আশা করবেন না। ট্রাম্প যে ওষুধ, যে চিকিৎসা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, তা এখন পর্যন্ত সাধারণ মার্কিন নাগরিকেরা পাননি। তাই করোনা নিয়ে ভীত না হওয়ার যে অভয় তিনি দিয়েছেন তাতে নিশ্চিন্তে থাকার উপায় নেই।
হাসপাতালে ভর্তির আগে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়। এই থেরাপি করোনাভাইরাসের মাত্রা কমাতে পারে। ট্রায়ালে এই থেরাপির ইতিবাচক ফল দেখা গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখন পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে এই থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি। কোম্পানিটি বলছে, ট্রাম্পের চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিশেষ পরিস্থিতে ব্যবহারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই ওষুধ সরবরাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, অধিকাংশ মানুষের থেরাপিটি এভাবে পাওয়ার সুযোগ নেই। এটি পাওয়ার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি ও চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। করোনা শনাক্ত হওয়ার পরদিনই ট্রাম্পকে এটি দেওয়া হয়। হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্পের চিকিৎসকেরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. সীমা ইয়াসমিন উল্লেখ বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অসুস্থতার ব্যাপার। এ জন্য তা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার আমেরিকান করোনায় মারা গেছেন। তারা এই ধরনের চিকিৎসা বা ওষুধ পাননি। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো হাজার হাজার আমেরিকান চিকিৎসাধীন। তারাও এই চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
ট্রাম্পকে অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়ার পাশাপাশি রেমডেসিভির ও ডেক্সামেথাসোনও দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই তিনটি ওষুধের ব্যবহার প্রসঙ্গে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক জনাথন রেইনার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) সম্ভবত এই গ্রহের একমাত্র রোগী, যিনি এই বিশেষ ওষুধগুলোর মিশ্রণটি পেয়েছেন।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman