রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২৮ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২৮ ) 
Ctgdailynews

স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ, কনস্টেবলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরে এক পুলিশ সদস্য নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে স্ত্রী পরিচয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বিচারে দোষী সাবস্ত হয়েছে। তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শরীফ উদ্দিন আহম্মেদ আসামির উপস্থিতিতে তাকে দোষী সাবস্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে দিনাজপুর জেল কারাগারে পাঠানো হয়।

দিনাজপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপিই অ্যাডভোকেট তৈয়বা বেগম জানান, গত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় এই মামলার নবম শ্রেণির ছাত্রীর নানী সদর উপজেলা শেখপুরা গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল দিনাজপুর সদর উপজেলার মাতা সাগর মহল্লার জাফর আলীর ছেলে নবীউল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলার দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল সকাল ১০টায় এজাহারকারী আমেনা বেগমের নাতনী দিনাজপুর শহরে মহারাজা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তার বাড়ি থেকে স্কুলে আসছিল। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি পুলিশ সদস্য নবীউল ইসলাম (৩৮) শহরের মহারাজা স্কুলের পাশ্বে বটতলী নাম স্থানে ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে নিয়ে যায়। আসামি ভিকটিমকে বিয়ের কথা বলে তাকে ঢাকা গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে গত ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর  বিকেলে দিাজপুর পাবর্তীপুর উপজেলার আসামি নবীউল ওই অপহৃতা নবম শ্রেণির ছাত্রীসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়। এরপর তাকে প্রথমে পাবর্তীপুর জিআরপি থানা পুলিশ এবং পরে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করে। এই ঘটনায় গত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর কোতয়ালী থানায় ভিকটিমের নানী আমেনা বেগম বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল নবীউলকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি বিচারামলে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে বিচারক আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print