রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:১৭ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:১৭ ) 
CTG Daily News

সরকারের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ ছাড়াও দেশে ক্ষমতাসীনদের ধর্ষণ ও দুর্নীতির মহামারি চলছে উল্লেখ করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেন, নোয়াখালীতে ও সিলেটের এমসি কলেজে নারীর সম্ভ্রমহানীসহ সারা দেশে সরকারদলীরা নারী ও শিশু নির্যাতনের মহৌৎসব শুরু করেছে। এ সব কিছুই হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে। আমাদের স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে । দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করা ছাড়া বিকল্প নেই।

তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে ধর্ষণ ও দুর্নীর মহামারির কারণে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। নোয়াখালীতে নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ও সম্ভ্রমহানির পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এর দায় সরকার কোনোভাবে এড়াতে পারে না। সরকারও এর দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই, অবিলম্বে সব দায় ও ব্যর্র্থতা স্বীকার করে সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান দলটির সিনিয়র নেতারা।

দেশব্যাপী অব্যাহত পৈশাচিক নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলটির সিনিয়র নেতারা এসব কথা বলেন।

এতে কালো পতাকা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এই মানববন্ধন এক সমাবেশে রূপ নেয়। ‘ধর্ষকের আস্তনা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, নিপীড়ক যেখানে, লড়াই হবে সেখান, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি শ্লোগানে প্রেস ক্লাব এলাকা মুখর হয়ে উঠে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামা, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, হাসান জাফির তুহিন, মহানগর উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আবদুল আলিম নকি, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আনোয়ার হোসেইন, আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে সারাদেশে জেলায় এই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধের মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আজকে পরিস্কার করে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার সমস্ত যে বৈধ্যতা তারা হারিয়েছে। তাদের আর ক্ষমতায় থাকার আর কোনো রকমের কোনো কারণ নেই। গত দুইদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন যে, এই ধর্ষনের দায় আমরা এড়াতে পারি না। তাহলে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এই ধর্ষন, লুণ্ঠন, নির্যাতন-নিপীড়নের পেছনে আপনাদেরই মদদ রয়েছে।’

সারা দেশে নারী নির্যাতনের মহোতসব সরকারের ছত্রছায়ায় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। যে ভয়াবহ অবস্থায় এই অবৈধ সরকার দেশকে নিয়ে গেছে তাতে দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যে ভয়াবহ লোহর্মষক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে এটা সমস্ত জাতি শুধু নয় আমার মনে হয় সমস্ত বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।  শুধু এই নোয়াখালীর ঘটনা নয়, গত কয়েক মাসে আপনারা লক্ষ্য করেছেন এখানে একটা মহোতসব শুরু হয়েছে। এই নারীর শ্লীলতাহানি, নারী ওপরে নির্যাতন-এটা এখন এই অবৈধ সরকারের ছত্রছায়ায় একটা নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেক অপকর্ম-অন্যায় শুনেছি-দেখেছি-পড়েছি কিন্তু এমসি কলেজের স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে হোস্টেলে যে পৈশাচিত জঘন্যতম অপরাধ করা হয়েছে। তা কারা হয়েছে-এটাও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রলীগের আওয়ামী লীগের তাদের সোনার ছেলেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন নারীকে উলঙ্গ করে একই রকমের ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যক্তি কে? আওয়ামী লীগের লোক। যে ধর্ষক এটা শুধু কোনো একজন মহিলাকে ধর্ষন নয়। বাংলাদেশকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধর্ষণ। এই ঘটনার (নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ) আমার কোনো ভাষা নেই তার প্রতিবাদ করার। শুধু ঘৃণা, ছি. ধিক্কার। চতুর্দিকে দেখেন- শুধু ধর্ষণ নয়, সমাজের যতরকমের অবক্ষয় আছে, আজকে সমাজকে দুষিত করে ফেলেছে, রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের রাষ্ট্রকে অকার্য্কর করেছে।’ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার হতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বের চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে শিশুরা, কলেজের ছাত্ররা, স্কুলের ছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে। কেন নেমেছে এটা আপনাদের (সরকার) বুঝতে হবে। যদি আপনারা দেশ চালাতে না পারেন, মা-বোনের ইজ্জতের সম্মান দিতে না পারেন, তাদেরকে রক্ষা করতে না পারেন তাহলে সোজাসুজি পদত্যাগ করুন।’

সরকারের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর প্রস্তুত করা হয়েছে সেখানে তাদের না পাঠিয়ে ধর্ষকদের সঙ্গে পাপিয়ার দলবলসহ পাঠিয়ে দেন। বাংলাদেশের মানুষ ও নিরাপদে থাকবে।’

মানববন্ধনে বিএনপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, আবুল কালাম আজাদ, এজিএম শাসমুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, কফিলউদ্দিন আহমেদ, এসএম জাহাঙ্গীরসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print