রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( বিকাল ৫:১২ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( বিকাল ৫:১২ ) 
Ctgdailynews

ফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে জবাই করে হত্যা মামলার নয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এই আদেশ দেন।

দণ্ডিতরা হলেন মোহাম্মদ শাহীন, বাবুল, মোহাম্মদ নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, মো. দিদার, আবু বক্কর, মোহাম্মদ ইসমাইল ও মো. জঙ্গু। রায় ঘোষণার সময় শুধু শাহীন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর গলা কেটে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তার স্ত্রী মোর্শেদা আকতার ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়েছে, নেছার আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় জেল খেটে ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফেরত আসেন এবং আর যেতে পারেননি। একই গ্রামের এজাহার মিয়ার কাছে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। বারবার চেষ্টা করেও সেই টাকা উদ্ধার করতে পারেননি নেছার।

তার সঙ্গে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ল্যাডা নাছির কৌশলে সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে। নেছার তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেন। ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে এজাহার মিয়ার কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা।

পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কে তার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় করা মামলা তদন্ত করে ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন। বিচার চলাকালে নাছির নামে একজন মারা যান।

পরে আদালতে নাছিরকে অব্যাহতি দেয়। দশজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২ বা ৩৪ ধারায় আদালত প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print