রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( বিকাল ৫:১৯ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( বিকাল ৫:১৯ ) 
Ctgdailynews

পরিবেশবান্ধব দূষনমুক্ত পারমানবিক শক্তির অপেক্ষায় বিশ্ব

লিটন বারী (সিডিএন ডেস্ক): মানুষ অনেকদিন ধরেই পারমানবিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আসছে।

বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তাকে বলা হয় পারমানবিক ফিশন বিক্রিয়া।

কিন্তু এটি প্রকৃত পারমানবিক শক্তি নয়

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃত পারমানবিক বিক্রিয়ার নাম ‘ফিউশন’।

যে বিক্রিয়ার একটি উদাহরণ হচ্ছে সূর্য।

সূর্য প্রতি সেকেন্ড কোটি কোটি পারমানবিক বোমার সমান শক্তি বিকিরণ করে। সেখানে প্রতিনিয়ত হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম তৈরি হচ্ছে।

এ প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। ফিউশন একটি অফুরন্ত ও দূষনমুক্ত বিক্রিয়া।

ফিশন বিক্রিয়ার চেয়ে ফিউশন ৪ গুণ বেশি শক্তি উৎপন্ন করে।

কিন্তু এই জ্ঞান এখনো মানুষের হাতে ধরা দেয়নি।

গত কয়েক যুগ ধরে বিজ্ঞানিরা এই বিক্রিয়াটি করার চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে ফ্রান্সের (ITER) প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে।

ইইউ, ভারত, চীন, দক্ষিন কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অর্থায়নে ২০০৭ সাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি তারা একটি ফিউশন রিএক্টর তৈরি করতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে ফিউশন শক্তিটি ব্যবহারযোগ্য হবে কিনা।

মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপকে প্লাজমা চৌম্বকক্ষেত্র দিয়ে ধরে রাখাই হবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এই তাপকে ধরে রাখা গেলেই তা ব্যবহার করা যাবে।

বর্তমান পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রায় এক তৃতীয়াংশ  শক্তি ব্যবহার করা সম্ভভ হয়। বাকিটা  অপচয় হয়।

এই পরীক্ষা সফল হলে, প্রায় ১৫ গুণ বেশি শক্তি উৎপন্ন হবে এবং এর পুরোটিই ব্যবহারযোগ্য হবে।

কিন্তু এই জ্বালানীর কোন বর্জ্য হবে না। ফলে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ যেমন পাওয়া যাবে তেমনি পরিবেশ হবে দূষণমুক্ত ও নির্মল। সুর্যের আলোয় আলোকিত হবে শহর

তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print