রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২৬ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( রাত ৮:২৬ ) 
CTG Daily News

করোনা পরিস্থিতি ‘অনুকূলে’ আসার ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা (সিডিএন ডেস্ক) : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি ‘অনুকূলে’ আসার ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমি আগেও বলেছি যখনই পরিস্থিতি অনুকূল হবে, তার ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিতে পারব। পরীক্ষা নেয়ার জন্য ১৫ দিন আগে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।’

আজ শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইরাব-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

‘করোনাকালে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুসতাক আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া কোনভাবে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমানো এবং কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে’ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে কোটি কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাই এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। চলতি শিক্ষাবর্ষে সংক্ষিপ্ততম যতটুকু সিলেবাস হলে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে শিখে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হতে পারে, তা পড়ানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী ফেব্রয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো যায় কি না তা আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়লে আগামী শিক্ষাবর্ষ নয়-দশ মাসে শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে সব ধরনের ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনা হবে। তবে নানা পরিকল্পনা ও আলোচনা চললেও সিদ্ধান্ত এখনই দেওয়া যাচ্ছে না।’
মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এইচএসসি’র সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। তবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমানো এবং কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাস সরাসরি ও তথ্যপ্রযুক্তির নানা মাধ্যমে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনোভাবে দেখছে। শীঘ্রই টোল ফ্রি লাইন ৩৩৩৬ চালু হচ্ছে। কমমূল্যে বা বিনামূল্যে কিভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট দেওয়া যায় সেজন্য আমরা বিভিন্ন ফোন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি।’

সংসদ টিভির চলমান ক্লাসগুলো বিশেষ শিশুদের উপযোগী করে তোলার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ শিশুরাও যাতে সংসদ টিভির ক্লাসগুলো করার সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে ক্লাসগুলো উপযোগী করে তৈরি করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। যাতে এই বিশেষ প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীরাও এই অনলাইন ক্লাসগুলোর মাধ্যমে করোনার সময়ে পাঠের সুবিধা নিতে পারে।’

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের জরিপে আমরা জানতে পেরেছি, সংসদ টিভির ক্লাসগুলো মোবাইল ফোনসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তবে এখনো ১০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে সংসদ টিভির ক্লাসগুলো পৌঁছায়নি। কিন্তু এই দশভাগকে পিছনে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print