রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( সন্ধ্যা ৬:৪৬ ) 

ব্রেকিং নিউজঃ
বিসিএস পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা করে কোটি টাকার মালিক তিনি!মওদুদ আহমদের মৃতদেহ আসবে বৃহস্পতিবারব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেইরোজায় ছয় পণ্যের ঘাটতি হবে না১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেনা বন্ধ হচ্ছেফটিকছড়িতে তোতা হত্যা মামলার ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা, ছেলে গুলিবিদ্ধদুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগেই দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ১১ এপ্রিলবাংলা ব্রাউজার ‘দুরন্ত’র যাত্রা শুরুআরও টিকা কেনা হবে, প্রধানমন্ত্রীজনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদেরচেক জাল করে ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট!
রবিবার • ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ ইং • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ •  ২রা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৭ হিজরী ( সন্ধ্যা ৬:৪৬ ) 
Ctgdailynews

শারীরিক সম্পর্কের পর টাকা পরিশোধ না করায় ধর্ষণ মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউ’শকা’ন্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গণধ”র্ষ’ণ করা হয় বলে অ’ভিযো’গ তোলেন এক নারী। এ ঘটনায় গ্রে’প্তার যুবক, নারী ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গ’ণধ”র্ষ’ণের অ’ভিযো’গ তো’লা নারী একজন যৌ’নক’র্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই হাজার টাকা চু’ক্তিতে আনা হয়েছিল তাকে। শারীরিক সম্প’র্ক শেষে টাকা না দেওয়ায় তিনি এমন নাটক সাজিয়েছিলেন। তবে মা’লায় ওই নারী ঘটনাটিকে ধ”র্ষ’ণ বলেই উল্লেখ করেন।

মা’মলার পর গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় গ্রে”প্তার করা হয় সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে। আ’দাল’তে তো’লা হলে ১৬৪ ধারায় জবান’ব’ন্দি দেন তিনি। সেখানে এসব তথ্য দেন সাইফুল। পুলিশও তদ’ন্তে এসব তথ্যের সত্যতা পায়।

নারীর অভিযোগ: নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে বসবাস করেন ওই নারী। তিনি অভি’যোগ করেছেন, গত রোববার বিকেল ৫টায় তিনি শেরপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে আত্মীয়র বাড়ি থেকে ফেরার পথে অটোচালকসহ ৩ যুবক তার হাত-পা বেঁ’ধে অ’পহ’রণ করে। পরে গভীর রাতে তাকে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ওই পরিত্যা’ক্ত ভবনে নিয়ে আরও কয়েকজন যুবকসহ গণ’ধ”র্ষ’ণ করে। পরদিন সকালে তাকে সিএনজিযোগেই আ’ত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ যা জানিয়েছে: এখন পর্যন্ত ওই নারীর চার’টি বিয়ে হয়েছে। অ’বাধ চলাফেরার কা’রণে তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বি’চ্ছেদ ঘ’টে। দ্বিতীয় বিয়েও একই কারণে বি’চ্ছে’দ হয়। পরে তিনি ওমান চলে যান। কিছুদিন পর ফের দেশে ফিরে আসেন তিনি। তৃতীয় বিয়ে করে কয়েকদিন স্বামীর সংসার করেন ওই নারী। পরে সেটিও ভে’ঙে যায়। এখন চতুর্থ স্বামীর সঙ্গে তিনি সংসার করছেন।

মা’মলার আসা’মি, ওই নারী ও তার স্বামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান। এর আগে মা’মলা হলে তারা দুজনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে যা জানতে পারে পুলিশ: আসামি সাইফুল আউশকা’ন্দি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের সাদিক মিয়ার ছেলে। প্রযু’ক্তির সহায়তায় গত মঙ্গলবার রাতে তাকে একই ইউনিয়নের মিনহাজপুর গ্রাম থেকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই নারী তাদের সহকর্মী জামিলের পরিচিত। তিনি ভাসমান পতি’তা’বৃ’ত্তি করেন। ঘটনার দিন তারা ৪ বন্ধু ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই নারীর স’ঙ্গে চু’ক্তি করেন। পরে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে তাকে আউশকা’ন্দি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে আসেন। সেখানে শারী’রিক স’ম্প’র্ক করে তারা।

আসা’মি সাইফুল আরও জানান, ঘটনাস্থলে পরে আরও দুজন আসে। তারাও ওই নারীর সঙ্গে শারী’রিক সম্প’র্ক করতে চায়। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় সবার সঙ্গে ত’র্ক-বি’ত’র্ক’ হয়। পরে সাইফুলসহ সবাই পা’লিয়ে আসে। এ কারণেই তার ওপর ধ’র্ষ’ণের অ’ভিযো’গ আনা হয়।

অভি’যো’গকারী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্যতা স্বী’কার করেন। পরে তাকে তার পরিবারের জি’ম্মায় দিতে চায় পুলিশ। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে নিজের চতুর্থ স্বামী ও শাশুড়ির জি’ম্মায় যেতে চান। হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহর নির্দেশে পরে তাকে সেখানেই যেতে দেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরে আসামি সাইফুলকে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে তোলা হয়। পরে বি’চারক তাকে জে’লে পাঠান। মামলার তদ’ন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মোট ছয়জনের বি’রু’দ্ধে মাম’লা করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহর নির্দেশে ঘটনা তদ’ন্তে পুলিশের চারটি দল কাজ করে। নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীসহ তিনি মাঠে থেকে ঘটনার তদ’ন্ত করেন। অভিযোগকারী নারীকে উ’দ্ধা’রের পর তার কথাবার্তায় অ’সংল’গ্নতা পান তারা। এতে স’ন্দেহ হলে ওই নারীকে তার স্বামীসহ জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। আসা’মি সাইফুলকেও তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

ওসি জানান, ওই নারীর বক্তব্য অ’সংগ’লগ্ন। তিনি কখনো বলেন সাতজন তাকে গণধ”র্ষ’ণ করেছেন, কখনো তিনজনের কথা বলছেন। আবার কখনো তিনি ২১ থেকে ১৪ জনের কথা বলেন। বিষয়টি অস্প’ষ্ট। ধারণা করা যাচ্ছে, ওই নারী একজন যৌ’নক’র্মী। টাকা না পাওয়ায় তিনি ধ”র্ষ’ণ মা’ম’লা করেছেন। কিন্তু যে মা’ম’লা হয়েছে, তাতে তিনি ধ”র্ষ’ণ হয়েছেন বলেই উল্লেখ করেছেন। সাইফুল হা’জতে আছেন। বাকিদের গ্রে”প্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest
Print