

বিনোদন ডেস্ক : পুজো আর মৃ’ত্যুর কোলাহল পাশাপাশি এসে দাঁড়িয়েছে। কোভিড আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমাদের সংযমী হতে শিখিয়েছে। আমাদের অ’পচয় কম করতে শিখিয়েছে।
পুজো মানেই তো আমাদের বাহুল্যের খরচ, জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে। এখন থেকে না হয় আম’রা সামঞ্জস্য রেখে সব করি। সে জীবনই হোক বা ফ্যাশন। এটাই না হয় হোক এ বার পুজো’র নতুন ভাবনা!
আমফানের সময় খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কাছে যেতে পারছিলাম না। দূর থেকে ওই দৃশ্য দেখা… এখন তো শুনছি ভা’রতের অবস্থাও সঙ্গীন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে রোজ কাজ করেছি, তাঁদের কী’ অবস্থা? খুব আকুল হয়ে আছি। সিনেমা হল খুলল। পুজো’র আগে এটা সত্যি আনন্দের!
শেষ কিছু বছর ধরে আমা’র কাছে পুজো’র আনন্দ মানে ছবি রিলিজ। সৃজিতের যে কটা ছবি আমি করেছি, সেগুলো পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া অন্য ছবিও তাই। বড় হওয়ার পরে এটাই আমা’র কাছে পুজো’র মূল আকর্ষণ ছিল। এ বার পুজো কেমন কাটবে জানি না। আমা’র অক্টোবরে কলকাতায় আসার কথা।
ভেবেছি ঢাকা থেকে প্রথম যে ফ্লাইট ভা’রতে আসবে, সেটাতে চড়েই সোজা আমা’র যোধপুর পার্কের বাড়িতে ফিরব। নিদেনপক্ষে পুজো’র একটু আগেই চলে আসতে চাই, যাতে অন্তত আ’মেজটা বুঝতে পারি। কলকাতা ছাড়া পুজো ভাবতেই পারি না। ঢাকাতেও পুজো হবে। তবে ঠাকুর দেখতে যেতে পারব কি না জানিনা। আমাদের সবচেয়ে বড় পুজো হয় বনানীর মণ্ডপে। প্রচুর লোকজন আসেন সেখানে। তবে এ বার তা কতটা হবে জানিনা। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠাকুর দেখতে হবে।
এই অ’তিমা’রি, লকডাউন নিয়ে ১৫ দিনে ছবি করে ফেললাম। এই সময়ের মানসিক অস্থিরতার দিনগুলোতে যখন বাসায় বসে ভ’য় আর আশ’ঙ্কায় দিনগুলো কা’টাচ্ছিলাম, সেই সময়েই পরিচালক ফোনে বললেন, ‘চলেন, ছোট করে একটা শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলি।’ ছবি অনেক সময়ে ছবি হয়ে ওঠে, বানাতে হয় না! তাঁর কথায়, আশায় থাকলাম কী’ করলাম সেটা দেখার জন্য! ১৫ দিনের শুটিংটা বেশ একটা পাগলামি ছিল! কিন্তু এত কম মানুষ নিয়ে একটা ছবি শুট করা যায়, সেটাও জানা হল। পিপলু ভাই আর নুসরত মাটি-র চিত্রনাট্যে আপাতত নাম আসেনি। নিজের প্রযোজনা সংস্থা তে এই ছবির প্রযোজনার অংশ!
তবু কলকাতা ফিরে ফিরে আসছে, বড্ড মন কেমন করছে! কলকাতা আমা’র জীবনে বিচ্ছিন্ন কিছু তো নয় আর। ঢাকা যদি হয় শেকড়, কলকাতায় আমি আমা’র ডালপালা মেলেছি। ওই যে আমা’র বাড়ির জানলা, তা তো যে কোনও বাড়ির চোখ। কলকাতার বাড়ির এই দীঘল চোখের জানলাটাই ছিল আমা’র মুক্তির পথ। এর মধ্যে দিয়ে বয়ে আসা হাওয়ার ঝাপটা কোথায় উড়িয়ে নিয়ে যেত আমা’র ক্লান্তি, আমা’র অবসন্নতা। আহা, আমা’র মন–ভালর জানলা!
জানলার ওপারের দেবদারু গাছটার কথা মনে পড়ছে বার বার। একটা বড় বাজপাখি এসে বসত গাছটার উপরে। রোজ, একদম একা একা। অন্য কোনও পাখির সঙ্গে ওকে কখনও দেখিনি। আমা’র জন্যই ও আসে, এটা ভাবতেই আমা’র ভাল লাগত। যেন আমা’র টোটেম হয়ে উঠেছিল পাখিটা। দেবদারুর শিখরে বাজপাখি, এই প্রখর সৌন্দর্যের কোনও তুলনা হয়!
এ বার পুজো স্মৃ’তি নিয়ে চলবে। একটা বইও পড়তে পারিনি। পুজোয় হয়তো পড়ব। আগে তো মনই বসছিল না! একটা মাছকে যদি জল থেকে বাইরে রাখা হয়? সে কেমন রাখা? এত দিন শুটিং ফ্লোরের বাইরে আমি! জুন থেকে শুট শুরু করার কথা ছিল। ইতিহাস দেখেছে যু’দ্ধ দিয়ে মানবজাতির সংশোধন হয়েছে। এ বার বোধ হয় অ’তিমা’রি দিয়ে হল।
সংযমের কথা মনে আছেই। কিন্তু পুজো আসবে আর আমি শাড়ির কথা ভাবব না? মন থেকে কি সব মুছে ফেলা যায়? সে দিন আমি ইন্টারনেটে দেখছিলাম কী’ কী’ ভাল শাড়ি এসেছে এ বার। পুজোতে আমি বাংলাদেশের শাড়িই পরি। আমা’র মসলিন খুব প্রিয়, সুতিও পছন্দের। প্রত্যেক বছর ৪-৫টা জায়গা থেকে শাড়ি উপহার পাই। এ বার কী’ হবে কে জানে! শুধু তো শাড়ি হলেই হবে না। সব দিক থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জে. এম. তারেক হোসেন। বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগঃ সিটিজি ডেইলি নিউজ, ই-মেইলঃ admin@ctgdailynews.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগঃ contact@ctgdailynews.com, ctgdailynewsbd@gmail.com
all rights reserved by সিটিজি ডেইলি নিউজ © 2020 Developed by Shahe Arman